সিংহ রাশির বিবাহিত জীবন- Brish rashi married life bengali

সিংহ  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?সিংহ রাশির বিবাহিত জীবন?  সিংহ রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত

সিংহ রাশি (Leo): রাশিচক্রের পঞ্চম রাশি হল সিংহ রাশি।সিংহ  রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহিত জীবন কেমন হয় ?সিংহ রাশির বিবাহিত জীবন?  সিংহ রাশির ব্যাক্তিদের বিবাহ কখন হবে বা কখন বিবাহ করা উচিত এই বিষয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন করে থাকেন  সিংহ রাশির জাতকরা, তাই এই post এ  সিংহ রাশির জাতকদের বিবাহ নিযে বিস্তারিত দেওয়া হল যে, সিংহ রাশির জাতকরা কখন বিয়ে করবেন এবং সিংহ রাশির বিবাহিত জীবন কেমন হবে এবং কোন সময় বিয়ে করলে আপনার দাম্পত্য জীবন কেমন হবে। তার আগে জেনে নেওয়া যাক সিংহ রাশির ব্যাক্তির চরিত্র সম্পর্কে কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

জন্মমাস: যে সকল ব্যক্তিদের জন্ম ইংরেজি ২১ শে জুলাই থেকে ২০ শে আগস্ট অর্থাৎ বাংলা ৮ ই শ্রাবণ থেকে ৭ ই ভাদ্রর মধ্যে, তারাই এই রাশির অন্তর্গত হন। এইভাবে জন্ম মাসের ভিত্তিতে সহজেই আপনার রাশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। যার ফলে আপনার ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের বিভিন্ন বাধা বিপত্তি সম্পর্কে আগে থাকতেই আপনি জানতে পারবেন। এমনকি সেই সকল সমস্যার প্রতিকারের উপায়ও জেনে নিতে পারবেন আপনি।

```

সিংহ রাশির বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-

শুভ রংকমলা
শুভ দিনরবিবার
শুভ সংখ্যা৫৫
শুভ দিকপূর্ব দিক
শুভ সঙ্গী বা সঙ্গিনীমেষ ও মীন রাশি
শুভ রত্নচুনী

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য: এই রাশির ব্যক্তিদের মধ্যে এমন এক প্রেমময় ব্যক্তিত্ব রয়েছে, যার কারণে অন্যরা এই রাশির ব্যক্তিদের দিকে সহজেই আকর্ষিত হয়। এরা জানেন কিভাবে নিজের ভালোবাসা দিয়ে সকলকে আপন করে নিতে হয়। যার কারণে বন্ধু এবং ভালোবাসার কখনই অভাব হয় না। চারপাশে অনেক মানুষ ঘোরাফেরা করে। সর্বদা মিষ্টি হাসি লেগে থাকে চোখে মুখে। কোন কারণে কারো উপগের রেগে থাকলে, তা মুহূর্তেই গলে জল হয়ে যায়। বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতেই পারে না কারো উপর। প্রশংসায় সবকিছু ভুলে গিয়ে শত্রু বন্ধু পার্থক্য করতেও অনেক ভুলে যান এই রাশির ব্যক্তিরা। তবে এই রাশির জাতক জাতিকারা খুবই স্পষ্টভাষী হয়, যে কারণে তাঁরা সহজেই অন্যের মুখের উপর তাঁর ভুল ধরিয়ে দেয়। সর্বদা ন্যায়ের পূজারি হয় এরা। ধর্মাচরণে মতি থাকে।

```

রবিগ্রহের জাতক হলেন এই সিংহ রাশি। এই রাশির ব্যক্তিদের মধ্যে রাজকীয় ভাব বিদ্যমান হওয়ায় তাঁদের আভিজাত্যের প্রতি মোহ থাকে। নিজের দিকে অন্যের দৃষ্টি ফেরানোর ক্ষমতা থাকে এদের মধ্যে। অর্থাৎ এই রাশির জাতক জাতিকারা সহজেই অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। উদার, দৃঢ়সংকল্প এবং নেতৃত্বশক্তির অধিকারী হওয়ায় এরা সকলের জন্য নিজের ভালোবাসা উজার করে দিতেই পিছুপা হয় না। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয় এই রাশির ব্যক্তিরা, নিজের কাজের প্রতি দৃঢ় সংকল্প থাকে এদের।

স্বাস্থ্য: জীবনকে বেশি ভালোবাসেন এই রাশির জাতক জাতিকারা। সেই কারণে নিজের প্রতি খেয়াল রাখা সর্বদা এদের কাজের মধ্যেই পড়ে। শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি থাকায়, সহজে অসুস্থ হতেও দেখা যায় না এই রাশির জাতক জাতিকাদের। তবে কিছুটা পেটুক প্রকৃতিরও হয় এরা। অনেক সময় নিজের ক্ষমতার প্রকাশ করতে গিয়ে শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এই রাশির ব্যক্তিদের। রক্তচাপ, চোখের রোগ, পেটের রোগে ভোগান্তি হতে পারে এই রাশির ব্যক্তিদের।

ব্যক্তিগত জীবন: সুন্দর ব্যক্তিত্বের অধিকারী হওয়ার কারণে জীবনে প্রেমের অভাব ঘটবে না। খুব সহজেই বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিরা আকর্ষিত হবে। তবে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে না এই রাশির জাতক জাতিকাদের। এই রাশির ব্যক্তির সঙ্গে মানানসই সঙ্গী খুঁজতে হবে। জীবনসঙ্গীকে নিজের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে দেবে না। ঘরের পরিবেশে কিছু সমস্যা থাকলে মাথা গরম হয়ে যায়। তবে বন্ধু এবং আয়ত্মীয়দের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে পছন্দ করেন এই রাশির ব্যক্তিরা। সন্তানের উন্নতি কামনা করে, তাঁদের প্রতি উদারতা দেখানোর প্রয়োজন। হঠাৎ করেই পুরনো কোন সম্পর্ক সামনে আসতে পারে। আবারও সেই ব্যক্তির সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে।

কর্ম জীবন: যে কাজে এই রাশির ব্যক্তিদের কর্তৃত্ব থাকবে, তাঁরা সেরকমই কাজ বেছে নেন। অর্থাৎ যে কাজে নিজের দক্ষতা এবং ইচ্ছা শক্তির প্রকাশ ঘটাতে পারবে, তাঁরা সেই রকমই কাজ বেছে নেন। যেমন- প্রশাসন, ম্যানেজার, সুপারভাইজার, রাজনীতিবিদ প্রভৃতি। এইসব কাজে নিজেদের সেরাটা প্রমাণ করতে এরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়। পাশাপাশি অভিনয় জগতের প্রতিও আকর্ষণ থাকে। তবে ব্যবসা এবং চাকরীর ক্ষেত্রেও ভালো উন্নতির যোগ রয়েছে।

আর্থিক অবস্থা: নিজের কিছুটা সৌখিন এবং আমোদ আহ্লাদে হওয়ার কারণে এদের প্রচুর অর্থের প্রয়োজন  হয়। আর অল্প বয়সেই এই রাশির জাতক জাতিকারা ভালো কাজের সন্ধান পেয়ে গিয়ে, প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে থাকেন। যা দিয়ে তাঁদের সমস্ত আশা আকাঙ্খা এক এক করে পূর্ণ করতে থাকেন। ঋণ নিলে তা শোধও করতে সক্ষম হয় এবং চাকরি কিংবা ব্যবসা থেকেও ভালো উপার্জন হতে থাকে।

প্রতিকার: বেপরোয়া মনোভাব দমন করতে হবে। নাহলে পরিবারে সমস্যার বীজ নির্মূল হবে না। যার প্রভাব পরিবার, কর্মক্ষেত্র সব জায়গায় পড়বে। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং অন্যের সমালোচনা করা ঠিক নয়। অনেক সময় বন্ধু শত্রুর পার্থক্য না করতে পেরে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সেই কারণে বন্ধুত্ব করার আগে বুঝে শুনে করতে হবে।